বর্ধমান পৌরসভায় আইনুল হক এর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরব রাজ‍্যের মন্ত্রীও

19th August 2021 11:28 pm বর্ধমান
বর্ধমান পৌরসভায় আইনুল হক এর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরব রাজ‍্যের মন্ত্রীও


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : নবনিযুক্ত বর্ধমান পৌরসভার উপ-প্রশাসক আইনুল হককে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীন আক্রমন সানালেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী  
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।বৃহস্পতিবার বর্ধমানে একটি কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে তিনি আইনুল হকের উপ-প্রশাসক পদে নিযুক্ত হওয়ার তীব্র বিরোধীতা করে নানা মন্তব্য করেন। সেই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়  । 
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “
আইনুল হক  সিপিএম থেকে এই দলে  এসেছেন।সিপিএম ক্ষমতায় থাকার সময়ে  উনি অত্যাচার অবিচার করেছেন। উনাকে মেনে নিতে তৃণমূলের  পুরনো কর্মীদের আপত্তি আছে।যারা তৃণমূলের পুরনো কর্মী তাঁদের উপর ছাড়াও  তাঁদের পরিবারের উপর অনেক অত্যাচার ও অবিচার করেছেন উনি।উনার গায়ে সি পি এমের বদরক্ত আছে। এইরকম লোক দলের মাথায় চেপে বসলে কর্মীদের পক্ষে হজম করা সত্যি মুশকিল।  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানান ,বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের নেত্রী ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের দৃষ্টি  আকর্ষণ করেছেন।আইনুল হককে নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের  কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন “। বাম আমলে বর্ধমান পৌরসভার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলেন সিপিএম নেতা  আইনুল হক।তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় আন্দোলন তখন ছিল তাঁরই বিরুদ্ধে । রাজ্যে পালাবদলের কয়েক বছর পর সিপিএম থেকে বহিস্কৃত হয়ে আইনুল হক প্রথমে বিজেপিতে নাম লেখান । পরে বিধানসভা ভোটের আগে তিনি  যোগদেন তৃণমূল কংগ্রেসে ।প্রায় তিন বছর পর বর্ধমান পৌরসভার জন্য গঠিত হয় প্রশাসক মণ্ডলী। 
সেই প্রশাসক মণ্ডলীতে উপ-প্রশাসক হিসাবে  আইনুল হকের নাম সামনে আসতেই গত মঙ্গলবার থেকে ক্ষোভ বিক্ষোভ জারি রয়েছে  শহর বর্ধমানের তৃণমূল শিবিরে । বৃস্পতিবারও বর্ধমান পৌরসভায় তৃণমূল কর্মীদের সেই ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে ।  এমন পরিস্থিতিতে আইনুল হককে নিয়ে করা  রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যে  আরও উজ্জীবিত বিক্ষুব্ধ তৃণমূল শিবির । এই বিষয়ে  তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস এদিন বলেন,“মন্ত্রী  কি বলেছেন তা তাঁর জানা নেই। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবেন সেটাই দলের সবাইকে মানতে হবে বলে প্রশেনজিৎ দাস  মন্তব্য করেছেন । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।